ইমান সিরিজ শেষ পর্ব
ইমান কি নষ্ট হয়? পর্ব ৬ (শেষ): শয়তানের ধোকা: আপনি যা সত্য বলে ভাবেন, তার বেশিরভাগই মিথ্যা
৬ পর্বের মধ্য দিয়ে শেষ হলো ইমান পর্ব (আপাতত)। আশা করি আপনারা বুঝতে পেরেছেন মানুষের জ্ঞান অর্জন ও সত্যসন্ধানে সবচেয়ে বড় শত্রু মানুষ নিজেই, তার নিজের মস্তিষ্ক। এই মস্তিষ্কের অলিতেগলিতে লুকিয়ে থাকা কগনিটিভ বায়াসই হলো শয়তান (আপনার আর কোনো বাহ্যিক শয়তানের দরকারই পড়বে না পথভ্রষ্ট হতে। আপনি নিজেই যথেষ্ট)। এই কগনিটিভ শয়তানের কারণেই শায়েখের দেখানো পথ অন্ধের মতো অনুসরণ করে মানুষ। সে অন্যের কথা শুনে না এবং চিন্তাভাবনা করে না। ঠিক এই কারণেই মানুষ জাহান্নামি হবে, কোরআন থেকে আমরা তার প্রমাণ দেখেছি।
আপনার মস্তিষ্কের কগনিটিভ শয়তানের কারণে আপনি প্রশ্ন করতে চান না। প্রশ্ন করা মানেই হচ্ছে মস্তিষ্ককে খাটানো। কিন্তু মস্তিষ্ক তো আরাম চায় শুধু, যেমন আরাম চায় আপনার শরীর। শরীরকে বেশি আরাম দিলে যেমন রোগশোক বাড়ে, মস্তিষ্ককে আরাম দিলেও মানসিক রোগ বাড়ে, মানসিক বৈকল্য দেখা দেয়। শরীর ও ব্রেইন দুটোই মানুষকে দেওয়া হয়েছে খাটানোর জন্য। কিন্তু না খাটালে যেহেতু আরাম লাভ হয়, তাই আমরা শরীর ও মন কোনোটাই খাটাতে চাই না।
ফেরেশতা পর্যন্ত আল্লাহকে প্রশ্ন করেছেন। নবিরাও আল্লাহকে প্রশ্ন করেছেন। আপনি আপনার শায়খকে প্রশ্ন করুন। আর যদি তাও না পারেন, অন্তত নিজের ইমানকে প্রশ্ন করুন। যাচাই করে নিন, আপনার ইমানের লেভেল কতটুকু। আমার মতো মানুষ যদি আপনার ইমান দুর্বল করে দিতে পারে, তবে আপনার তো ইমানই নেই। কারো কথা শুনলে যদি মুসলমানের ইমান ঝরে পড়ে, তবে সেই মুসলমানের দরকারই কি?